দেশের এই ক্রান্তিকালেও থেমে নেই আওয়ামীলীগের অপকর্ম। করোনার মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও তারা মেতে উঠেছে জালিয়াতি তৎপরতায়। দেখা গেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাহেদের রিজেন্ট কাণ্ডের পর আবার নতুন করে সমালোচনায় জন্ম নিয়েছে প্রতারক সাবরিনা।
করোনার নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা করেছেন এই সাবরিনাও। তবে দুজনের বেলায় ক্ষমতাসীন দলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেখা গেছে ভিন্ন তৎপরতা। সাবরিনাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার দেখালেও রিজেন্টে কাণ্ডের এক সপ্তাহ পার হলেও গ্রেফতার দেখানো হয়নি সাহেদকে।
চায়ের স্টল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গন পর্যন্ত এখন সবার মুখে শুধু একটিই প্রশ্ন-সাহেদ কোথায়? এত বড় প্রতারণার পরও সরকার তাকে গ্রেফতার করছে না কেন? সাহেদ কি আসলেই গ্রেফতার হবে? নাকি ইজ্জত বাচাতে সরকার তাকে রাতের আধারে সীমান্তের উপারে পাঠিয়ে দেবে?
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সাহেদ র্যাবের হেফাজতেই আছে। তাকে গ্রেফতার দেখানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত নয়।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রতিদিনই গণমাধ্যমকে বলছেন, সাহেদ যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। মন্ত্রীর এই কথা থেকেই বুঝা যায় সাহেদের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানা আছে।
অপরদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় অর্থআত্মসাতের একটি মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।
আর আদালতের এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরই জানা গেছে, সাহেদ পালিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ তৎপর অবস্থায় রয়েছে। যানবাহনও তল্লাশি চালাচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, ওই এলাকা থেকেই সাহেদকে গ্রেফতার দেখাতে পারে পুলিশ। গ্রেফতারের পর বলা হবে যে, সাহেদ পালিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সাহেদকে আজ রাতে কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতেও পাঠিয়ে দিতে পারে। তবে, এটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। গ্রেফতার দেখানোর সম্ভাবনাই বেশি।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, সাহেদকে নিয়ে গণভবন থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। যার কারনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তাবে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সাহেদকে ক্রসফায়ারের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, তাকে ক্রসফায়ারে না দিয়ে ফেঁসে যেতে পারেন বহু নেতা।