যশোরের চৌগাছা উপজেলার হিজলী গ্রামের কৃষক বিপুল হোসেন হ’ত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। একই সাথে হ’ত্যায় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি ও নি’হতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি পরকীয়ার জের ধরে প্রেমিকার ছেলের হাতে খু’ন হন বিপুল হোসেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল চারজন। রোববার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, চৌগাছার হিজলী গ্রাসের আবু শামার ছেলে সবুজ হোসেন (১৯), স্ত্রী ফুলবানু বেগম (৩৮), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তুহিন (২৫)।
ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমেদ জানান, শুক্রবার সকালে চৌগাছা উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় বিপুলের লাশ পাওয়া যায়। এঘটনায় তার ছেলে রকি আহমেদ মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ সুপার তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যস্ত করেন।
এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার মনিরামপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী সবুজ হোসেন, তার মা ফুলবানু বেগম এবং তুহিনসহ অপর একজনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে চৌগাছা উপজেলার পুড়াপাড়ার জনৈক ইদ্রিস আলীর পাটক্ষেতের ভিতর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এরপর হত্যার স্থান থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রফিকুল নামে একজন পলাতক রয়েছে।
ওসি আটককৃতদের বরাত দিয়ে আরো জানান, আটক সবুজের পিতা আবু শামা ১০/১২ বছর যাবৎ মালয়েশিয়াতে আছেন। নিহত বিপুল এ সুযোগে সবুজের মা ফুলবানুর সাথে পরকীয়া প্রেম শুরু করেন। তাদের অনৈতিক সম্পর্ক সবুজ দেখে ফেলে এবং বিপুলকে সতর্ক করে। এরপরও সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় সবুজ ও তার ভগ্নিপতি রফিকুল হত্যার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন সবুজের ভগ্নিপতি দক্ষিণ কয়ারপাড়া সাকিনের লালনের ছেলে রফিকুল গরু কেনার কথা বলে বিপুলকে বাড়ি থেকে ডেকে তার বসতঘরে নিয়ে যায়। এরপর শ্বাসরোধ ও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে বিপুলকে হত্যা করে। পরে বস্তায় ভরে মরদেহ মুলিখালি ফেলে আসে।
সোমবার (৮ জুন) আটককৃতদের বিপুল হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে।