পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল, সুবিদখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম রুবান অপর পক্ষের একই কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন লাভলু ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান কাদের। তাদেরকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুবিদখালী সরকারি কলেজের একটি উন্নয়নমূলক কাজের মান নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে কলেজ রোড এলাকায় মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে মো. শাকিল হোসেন শায়েকের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মির্জাগঞ্জে এলজিইডি’র আওতায় সুবিদখালী সরকারি কলেজের পুকুর খনন ও ঘাটলা নির্মাণে আমার একটি কাজ চলমান রয়েছে। কাজের শুরুতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল হোসেন শায়েক আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ফেসবুকে আইডি দিয়ে কাজের মান নিয়ে ভুয়া স্ট্যাটাস দেয়।
তিনি বলেন, আমি রোববার দুপুরে কাজ পরিদর্শনে গেলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শায়েকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় শায়েক ও তার দলবল আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময়ে সুবিদখালী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম রুবান এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয় এবং তিনি আহত হন
মো. শাকিল হোসেন শায়েক মোবাইলে বলেন, আমার নামে মিথ্যা রটানো হচ্ছে। আমি কারো কাছে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। কলেজের পুকুর খনন ও ঘাটলা নির্মাণের কাজ চলমান। কাজের মান খারাপ হওয়ায় কে বা কারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।