পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে শরিয়তসম্মত না হওয়ায় বাবা মকবুল হোসেন (৫০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ’ত্যা করেছেন। শনিবার ভোররাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের মধ্য পাটুলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছেলে মিজানুর রহমান ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে এরপর স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে না দিয়ে নিজেই আবার বিয়ে করে ঘরে তোলেন। এতে তার বাবা ক্ষুদ্ধ হয়ে আত্নহ’ত্যা করেন।
মৃত মকবুল হোসেন ওই গ্রামের মৃত. সিরাজ সরদারের ছেলে। আর ছেলে মিজানুর রহমান পেশায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।
মৃত মকবুল হোসেনের স্বজন ও তার প্রতিবেশীরা জানান, মকবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান প্রথম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের অনুমতি না নিয়েই প্রায় পাঁচ মাস আগে প্রেম করে ২য় বিয়ে করেন। তার ২য় স্ত্রী তাদের গ্রামেরই ইয়াকুব আলীর মেয়ে জেসমিন। এ বিয়েতে দুই লাখ টাকার কাবিন করা হয়। কিন্তু তাদের বনিবনা না হওয়ায় মিজানুর সাড়ে তিন লাখ টাকায় সমঝোতা করে জেসমিনকে তালাক দেন। এর কিছুদিন পর তারা আবার গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (২৮ মে) মিজানুর রহমান ৮ লাখ টাকা কাবিনে আবার জেসমিনকে বিয়ে করেন। কিন্তু ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক হিল্লা বিয়ে ছাড়া তালাক দেয়া স্ত্রীকে আবার বিয়ে করা যায় না বলে তারা বাবা ক্ষুদ্ধ হন। তিনি এ বিয়ে মেনে না নিয়ে ছেলে মিজানুরকে ওই স্ত্রীকে বাড়িতে তুলতে নিষেধ করেন। ছেলে জোর করে তার ‘বিতর্কিত’ ২য় স্ত্রীকে ঘরে তোলেন। তার বাবা তাকে সস্ত্রীক বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন। এতে ছেলে মিজানুর বাবার আদেশ অমান্য করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তার বাবা মকবুল হোসেন শনিবার ভোরে বাড়ির একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালেই পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।