কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বড় ধরণের বেকারত্বের মুখে পরে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত মে মাসে এ অবস্থা থেকে উঠে এসেছে দেশটি। কিন্তু এরমধ্যেও কিছু অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে। কারণ, হিসেব বলছে সব ধরণের মানুষ চাকরি পাচ্ছেন না কিংবা চাকরিচ্যুত হওয়ার হারও সবার মধ্যে একইরকম নয়। সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেও এশীয় ও আফ্রিকা-আমেরিকানদের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, কোভিড নাইন্টিন সংক্রমণের প্রথম দিকে রেকর্ড ১৪.৭ শতাংশ বেকারত্ব দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সেটি এখন কিছুটা কমে ১৩.৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
দেশটিতে রেস্টুরেন্ট, বার ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে। ফলে পূর্বে যারা অস্থায়ী চাকরির সঙ্গে জড়িত ছিল তারা চাকরি ফিরে পেতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে নির্মানখাতেও যুক্ত হচ্ছে নতুন চাকরির সুযোগ। ফলে গত এক মাসে রেকর্ড ২৫ লক্ষাধিক মানুষ চাকরি ফিরে পেয়েছেন। তবে এপ্রিলে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন ২০.৭ মিলিয়ন মানুষ। ফলে একটি বড় অংশ এখনো বেকার রয়ে গেছেন।
এসব তথ্য প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে খারাপ সংকটকালীন সময় পার হয়ে গেছে এবং দেশটি অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করছে। তবে দেশটিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে বর্নবাদ। এতে উঠে আসছে কিছু নতুন তথ্য। যাতে দেখা যায়, বেকারত্বের কারণে কৃষ্ণাঙ্গরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে তখনো কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে চাকরিচ্যুতির সংখ্যা বাড়ছে।
গত এপ্রিলে যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বেকারত্ব ছিল ১৬.৭ শতাংশ, সেটি মে মাসে বেড়ে হয়েছে ১৬.৮ শতাংশ। অথচ এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে এশীয়দের বেলায়ও। তাদের ক্ষেত্রে এপ্রিলের ১৪.৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়ে মে-তে হয়েছে ১৫ শতাংশ। কিন্তু শেতাঙ্গ আমেরিকানদের ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। তাদের এপ্রিলে যেখানে ১৪.২ শতাংশ বেকার ছিল সেটি কমে মে মাসে হয়েছে ১২.৪ শতাংশ।