আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানতে তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছে মিতুর পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কালের কণ্ঠ’র এই প্রতিবেদককে কাছে পেয়ে তাঁর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তা জানতে চাই। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হচ্ছে না। আমরা এ পর্যন্ত যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছি তাদের করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমার নাতি-নাতনিকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করে। কিন্তু বাবুল আক্তার তাদের আমাদের কাছে আসতে দেয় না। বাবুল আক্তারকে আমরা প্রধান সন্দেহভাজন মনে করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, জানি না। তাকে আসামিও করা হয়নি। এসব কারণে থানার পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি সিআইডি, পিবিআই বা অন্য সংস্থায় স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি।’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে চলছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন জঙ্গিবিরোধী নানা অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচলাইশ থানায় অচেনা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন বাবুল।
পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেওয়ার আগে বাবুল চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম ছাড়ার কয়েক দিনের মধ্যে খুন হয়েছিলেন মিতু।
মিতুর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘরোয়াভাবে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের খুব আদরের সন্তান ছিল মিতু। তাকে হত্যার পর এতটা বছর চলে গেল আমরা এখনো জানতে পারলাম না কে হত্যাকারী। আমরা অপেক্ষা করছি প্রকৃত হত্যাকারী কে তা জানার জন্য। কিন্তু তদন্তকারীরা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা কোনোভাবে কাম্য নয়।’