>পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জামাতার চাপাতির কোপে শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ তিনজন গুরুতর জখম। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এব্যাপারে চাঁনমিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার জামাতা জুলহাস গাজীসহ তিন জনকে আসামী করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ভিকাখালী গ্রামের নাদের গাজী ছেলে মোঃ জুলহাস গাজীর সাথে পাশ্ববর্তী আন্দুয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে মাহফুজার সাথে বিবাহ হয়। দীর্ঘ ৮ মাস পূর্বে স্ত্রী মাহফুজা স্বামীর সাথে অভিমান করে তার বাবার বাড়ি চলে আসে। ঘটনার দিন রাতে জুলহাস তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্বশুর বাড়িতে আসে। স্ত্রী তার সাথে আসতে রাজি না হলে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জামাতা জুলহাসের সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে শ্বশুর, শ্বাশুড়িকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
এসময় ডাকচিৎকারে বাড়িতে থাকা আলমগীর হাওলাদার এসে বাঁধা দিলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে এলাকাবাসী ছুটে এসে জামাতাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আ’হতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, এব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জুলহাসকে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার সাথে থাকা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।