ভারতের কেরালায় গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী কে রাজু শুক্রবার (৫ জুন) এ কথা জানান। হাতি হত্যা মামলায় এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হলো।
জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৪০ বছর। তিনিই বারুদ সরবরাহ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বারুদ সরবরাহের পাশাপাশি এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা অন্যদের দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
গত সপ্তাহে হাতিটি বন থেকে লোকালয়ে চলে এলেও সে মানুষকে অত্যন্ত বিশ্বাস করত। তাই মানুষের দেওয়া সেই বাজি ভরা আনারস খেয়েও সে লোকালয়ে ছুটে বেড়িয়েছে টানা, কিন্তু কোনও বাড়ি বা মানুষের ছিটেফোঁটাও ক্ষতি করেনি সে। খাবারের অভাবে সে ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। খাবারের খোঁজ করছিল। আর সেই সময়ই তার মুখে তুলে দেওয়া হয় বাজি ভরতি আনারস। নিজের আর পেটের সন্তানের জন্যে সেই আনারসটি খেয়ে নেয় সে। এরপরই হঠাত তার মুখে বিস্ফোরণ হয়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মুখ ও জিভ। অসহ্য যন্ত্রণা এবং খিদে নিয়ে সারা গ্রাম হেঁটে বেড়ায় সে। এই অবস্থায় হাতিটি জল খুঁজছিল। যদি কিছু সুরাহা হয়।
নিজের চেষ্টাতেই খুঁজতে-খুঁজতে হাতিটি পৌঁছে যায় ভেলিয়ার নদী পর্যন্ত। জলের খোঁজ পেয়েই সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে পড়ে নদীর মাঝে। আর সেই দাঁড়িয়ে থেকেই মৃত্যু হয় তার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাতিটি নদীর জলে শুঁড় এবং মুখ ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিল অনেকক্ষণ। যদি মুখ ফেটে যাওয়ার অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে, যদি পেটের বাচ্চাটা বাঁচে।
অবশেষে ২৭ মে নদীতে দাড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই হাতিটি মারা যায়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায় যে হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল।