জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় জুয়ার আসরে অভিযানের সময় ডিবি পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আটক জুয়াড়িদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় একজন এসআই ও তিনজন এএসআইসহ নয়জন ডিবি পুলিশ আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর জেলা থেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিকরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ডিবি পুলিশের একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামে অভিজান চালায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে মনজু মিয়ার বাড়ির একটি টিনের ঘরে জুয়ার আসরে অভিযান চালায় তারা। জুয়ার আসরে অন্তত ৩০-৩৫ জন জুয়াড়ি ছিল। ডিবি পুলিশ ওই ঘরটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে ভেতরে ৮-১০ জন জুয়াড়ি আটকা পড়ে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘরের ভেতরে আটকাপড়া জুয়াড়িদের আটক করে বাইরে আনার প্রস্তুতিকালে পালিয়ে যাওয়া জুয়াড়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা ও টেটা নিয়ে ডিবি পুলিশদের ওপর হামলা চালিয়ে আটক জুয়াড়িদের ছিনিয়ে নেয়।
হামলায় ডিবি পুলিশের সবাই আহত হন। আহতরা হলেন এসআই মো. জিকরুল ইসলাম, তিনজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খলিলুর রহমান, মনির হোসেন ও হুমায়ুন কবীর, কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান, শাহীনুর ইসলাম, বিন কাসিম, আরিফ রব্বানী ও আনোয়ার হোসেন। পরে খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আহত ডিবি পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত এএসআই খলিলুর রহমান ও কনস্টেবল কামরুজ্জামানকে জামালপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জুয়ার আসরে অভিযানকারী ডিবির এসআই মো. জিকরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, জুয়ার আসরের ওই ঘর থেকে আটক ৮-১০ জুয়াড়িকে বাইরে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় পালিয়ে যাওয়া জুয়াড়িরা এসে ঘরের টিনের বেড়ায় টেটা নিক্ষেপসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আটক জুয়াড়িরাও পালিয়ে যায়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মেরুরচরের বাঘাডোবা গ্রামে ডিবি পুলিশের ওপর জুয়াড়িদের হামলার ঘটনায় ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। অভিযোগ পেলেই মামলা হিসেবে রুজু করার পাশাপাশি হামলাকারী জুয়াড়িদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।