সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রীবেশে বসে অন্য যাত্রীর জন্য অপেক্ষা। এরপর কাঙ্ক্ষিত কোন পুরুষ যাত্রী পেলে তাকে নিয়ে গন্তব্য স্থলের দিকে যাত্রা। পথিমধ্যেই মেয়ে যাত্রীর সাথে আপত্তিকর ছবি কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আটকে রেখে একাধিক আপত্তিকর ছবি তুলে পরিবারের নিকট পাঠানোর হুমকি প্রদান, তারপর নগদ টাকা, বিকাশের মাধ্যমে টাকাসহ সর্বস্ব লুটিয়ে নেয়ার প্রতারণা।
গত সোমবার বিকেলে এমনই এক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন। প্রতারণার এই সূত্র ধরে এ চক্রের ৩ নারীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেলের এএসপি কুদরত ই খুদা শুভ জানান গত সোমবার বিকেলে উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে বের হয়ে নাগর বন্দর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে বগুড়া যাবার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশাতে উঠে বসেন। পরপরই ওই সিএনজি অটোরিকশায় ২ নারীসহ একজন ছেলে যাত্রী উঠে বসেন।
সামান্য যাবার পরই সিএনজিতে থাকা বৃষ্টির অজুহাতে পর্দা লাগিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে রাস্তার পার্শ্বে এক বাড়ীতে আটকে রেখে জোর করে কাপড় খুলতে থাকে এবং মেয়ের সাথে আপত্তিকর ছবি তোলার হুমকি দিয়ে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে ৪৭ হাজার টাকা নেয়। এরপর একটি চেকে সই করিয়ে নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই বাড়ী থেকে বের করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার এবং মঙ্গলবার বিকাশ নম্বরে সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের ৩ নারীসহ ৭ জনকে আটক করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি জানান এর আগে আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন জানান, তিনি যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। টাকা চেক উদ্ধার হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চান তিনি।