লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভৈরব থেকে নারীসহ পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। লিবিয়ায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ভৈরবের ৮ যুবক রয়েছেন। বিভিন্ন প্রলোভনে ভারত হয়ে কয়েকটি হাত বদলের মাধ্যমে মানবপাচারকারীরা লিবিয়ায় পাচার করতো বলে জানিয়েছেন র্যাব -১৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার উদ্দিন
বুধবার (৩ জুন) দুপুরে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে এক প্রেসব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন। আটক আসামিরা হলেন-হেলাল উদ্দিন হেলু,শহিদ মিয়া,খবির ঊদ্দিন। এদের বাড়ি ভৈরব পৌরসভার জগন্নাথপুরে। অপর আসামি মুন্নি বেগম নামের এক নারী তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তার সম্পর্কে র্যাব বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লিবিয়ায় নিহতদের পাচারে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবি করে।
তিনি আরও বলেন, আটক অভিবাসীদের জিম্মি করে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অত্যাচার করে পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করতো। সন্তানকে বাঁচাতে ভিটেমাটি বিক্রি করে অপহরণকারীর চাওয়া টাকা পাঠাতে বাধ্য হতো পরিবারের সদস্যরা।
গত ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে ভৈরবের ৮ জনসহ ২৬ বাংলাদেশী নিহত হন। গুরুতর আহত ১১ জনের মধ্যে ভৈরবে রয়েছেন আরও ৩ জন। নিহতরা হলেন- জিন্নত বলীর ছেলে মাহবুব,মেহের আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন আকাশ,বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব অধির দাসের ছেলে রাজন দাস লিয়াকত আলির ছেলে মামুন, আলীর ছেলে সোহাগ ও শাকিল নামের একজন।
এ ঘটনায় গত ৩০ মে সাদ্দাম হোসেন আকাশের বড় ভাই মোবারক হোসেন দালাল তানজিমুলকে প্রধান আসামি করে ৭ দালালের নামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, হত্যা জিম্মি করে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে ভৈরব থাবায় মামলা করেন। এর পরই সিআইডির একটি বিশেষ টিম তানজিমুলের বড় ভাই বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়।
এ ঘটনার পরপর জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানা গেছে।