ভারতের জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কংগান এলাকায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন।আজ বুধবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়।নিহতরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদ এর সদস্য বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আজ সকালে কংগান এলাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতির খবর পাওয়ার পরে অভিযান শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী।এতে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে জইস-ই-মোহাম্মদ গোষ্ঠীর তিনজন নিহত হন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনার ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফের ১৮৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের যৌথ উদ্যোগে কাশ্মীরের আস্তান মহল্লায় তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশি চলাকালীনই গুলি চালায় জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় সেনা বাহিনীও।
জম্মু কাশ্মীর পুলিশ জানাচ্ছে জঙ্গিরা যেখানে লুকিয়ে ছিল, সেই জায়গাটি ঘিরে ফেলতেই গুলির লড়াই শুরু হয়। খতম হওয়া তিন জইশ জঙ্গির মধ্যে একজন জইশ কমান্ডার বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই গোটা কাশ্মীর জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে খবর। এদিকে, এরই মধ্যে মঙ্গলবার কাশ্মীরে ধরা পড়ে নারকো টেরর মডিউল। জম্মু কাশ্মীরের বুদগাম জেলা জুড়ে এই মডিউল গড়ে তোলা হয়েছিল বলে খবর। এরই সঙ্গে জড়িত ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের সঙ্গে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিষিদ্ধ জইশের সঙ্গে জড়িত এই ছয় ব্যক্তি সেনা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর ছক কষেছিল বলে খবর।
সোমবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের নারকো টেরর মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল এরা। মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার ও জইশকে অর্থ সাহায্য করার কাজ চালাত এই ছয় ব্যক্তি। সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে পাকিস্তানের মাটিতে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালাত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী যৌথ তল্লাশি চালায়। বুদগাম জেলার চাদোরা এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য পয়লা জুন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা বানচাল করে সেনা। তিন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করছিল বলে সেনা সূত্রে খবর। জম্মু কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরের রাজৌরি জেলার ঘটনা। তিন জঙ্গিকেই নিকেশ করে ভারতীয় জওয়ানরা।
সেনা জানায়, এই তিন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢোকার চেষ্টা করতেই সেনার নজরে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই ওই তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়। উল্লেখ্য গত ২৮শে মে থেকে রাজৌরি জুড়ে টহলদারি চালাচ্ছে সেনা। টহলদারি চালানোর সময়েই সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনা নজরে আসে।
সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানান পুঞ্চ ও রাজৌরি জুড়ে তল্লাশির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে চলছে টহলদারি। অন্যদিকে পৃথক ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে বিএসএফ। পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জম্মু কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরের হীরানগর এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।