সারা বিশ্বে করোনার ছোবল পড়েছে। আর সেই সঙ্গে এই ছোবল পড়েছে বিশ্বের সব থেকে জনবহুল দেশ ভারতেও। দেশটিতে এখন করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বেশ মহামারি আকারে। এটি এখন দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে পৌছে গেছে। সম্প্রতি জানা যায় একটি অবাক করা ঘটনা। একটি হাসপাতালের দরজার সামনে দাড়িয়ে একজন করোনার রোগীর শিকারোক্তি তিনি করোনা আক্রান্ত। নিজে এসেছেন করোনার চিকিৎসা নিতে।
কোভিড হাসপাতালের দরজা সব সময় বন্ধই থাকে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ সেখানে বাইরে থেকে প্রবল ধাক্কাধাক্কি। সঙ্গে চিৎকার ’আমি করোনা পজ়িটিভ। দরজা খুলুন প্লিজ। আমাকে ভর্তি নিন’।হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, এক নিরাপত্তাকর্মী গিয়ে বাইকটিকে তুলে দাঁড় করান। ততক্ষণে উত্তেজিত যুবক কিছুটা ধাতস্থ হয়েছেন। তার কাছ থেকে জানা গেল, তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্যারামেডিক্যালের ছাত্র। তার কোনও উপসর্গ ছিল না। তাও ২৬ মে নাগরাকাটায় ফিরে শুল্কাপাড়ার এক চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তখন লালারসের নমুনা সংগ্রহ চলছিল। ওই যুবক নিজেই নমুনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন।শুক্রবার দুপুরে রিপোর্টে তিনি খবর পান, তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে আর সময় নষ্ট করতে চাননি তিনি। কখন সরকারি গাড়ি আসবে, সে অপেক্ষাও করেননি।
সোজা বাইক নিয়ে রওনা দেন জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের কোভিড হাসপাতালে। তার পর ৬০ কিলোমিটার উজিয়ে এসে পৌঁছান জলপাইগুড়িতে।নিয়ম অনুযায়ী সরকারি গাড়িতেই রোগীকে কোভিড হাসপাতালে আনা হয়। যুবক নিজেই নিজের রিপোর্ট পজ়িটিভ বলে হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেছেন দেখে হইচই পড়ে যায় জলপাইগুড়িতে। জেলা সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নষ্কর বলেন, উনি আতঙ্কিত হয়ে চলে এসেছিলেন। তার পরে আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এর পর থেকে এমন যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে নিরাপত্তাকর্মী তার বাইকটি তুলে দিয়েছিলেন, তাকেও ওই কোভিড হাসপাতালেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।২০২০ সালটা মানুষের জন্য একেবারেই সুখকর হয়নি। শুরুটা হয়েছে করোনা নামক এই ভাইরাসকে সাথে নিয়ে। আর বছরের অর্ধেকটা সময় পাড় হয়ে গেলেও এই করোনা থেকে এখনো রেহাই পায়নি পুরো বিশ্ববাসি।
প্রতিদিনই বিশ্বে করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে লাখে লাখে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৬১ লাখেরও বেশি।