ফরিদপুরের মধুখালী মরিচ বাজারে বেতন চাওয়ায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দোকান কর্মচারী কিশোরের শরীর গরম খুন্তি ও পাইপ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার দোকান কর্মচারী তাপসকে (১৪) জেলার মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মে) দুপুরে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত তাপসকে দেখতে যান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলীমুজ্জামান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তাপস প্রায় এক বছর ধরে মরিচ বাজারের বিপ্লব সাহার চা ও মুদি দোকানে কাজ করে আসছে। তাকে শুধু খাবার দেয়া হতো, কোনো বেতন দিতেন না দোকান মালিক। গত কয়েক মাস তাপস দোকান মালিকের কাছে বেতন চাইছিল। এ কারণে শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে তাপসকে মারধর করা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে গরম খুন্তি ও স্টিলের গরম পাইপ দিয়ে তাপসের ঘাড়, হাত ও পিঠ পুড়িয়ে দেয়া হয়।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ বিপ্লব সাহার বাবা বিমল সাহা ও তার ছোট ছেলে পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে তাপসকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. কবির সরদার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর তাপসের শরীরে হঠাৎ রক্তক্ষরণ হয়। শনিবার সকালে তার শরীরে এক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে।
মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রথীন্দ্রনাথ জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান হাসপাতালে আহত তাপসকে দেখতে গিয়েছিলেন।