গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৭) নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন হত্যাকাণ্ডের ‘দায় স্বীকার করে’ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সহকর্মী সহকারী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান সেলিম।
ঝোপ থেকে গাজীপুর সিটির প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহীনুর রহমানের খাসকামরায় তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করে তিনজন জবানবন্দি দিলেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সেলিমকে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার পরিদর্শক (অভিযান) শেখ মফিজুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহীনুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম আসামি সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন গাড়ি চালক হাবিব ও হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া শাহীন ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম আসামি হাবিবের এবং হাকিম শাহীনুর রহমান আসামি শাহীনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে মামলার সাক্ষী হিসেবে রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১১ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরের বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হন প্রকৌশলী দেলোয়ার। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গল থেকে দেলোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোদেজা আক্তার তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।