পবিত্র রমজানে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কর্মীরা। দেশটির জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা অন্তত ৫০০ জনের জন্য সকাল-সন্ধ্যায় সেহরি এবং ইফতারির ব্যবস্থা করছেন তারা।
মন্দিরের বোর্ড সিইও রমেশ কুমার জানিয়েছেন, আশীর্বাদ ভবন নামে কাটরার ওই সেন্টারটিতে অন্তত পাঁচ শ জনের কোয়ারেন্টিনে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ভাসমান শ্রমিক।
তিনি বলেন, রমজান মাসে ওই শ্রমিকেরা রোজা থাকতে শুরু করেন। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তাদের প্রতি দিনের সেহরি ও ইফতারির ব্যবস্থা করব আমরা। আমাদের মুসলিম ভাইদের জন্য সেহরি-ইফতারি তৈরি করতে দিনরাত খেটে চলেছে বৈষ্ণোদেবী বোর্ড।
রমেশ কুমার আরও জানিয়েছেন, লকডাউনের মাঝে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ও বাসে করে ভাসমান শ্রমিকদের ফেরাতে শুরু করে। কাটরা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে উধমপুরে এসে নামার পর তাদের রাখা হয় আশীর্বাদ ভবনে। করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ থেকেই আশীর্বাদ ভবনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে সেন্টারে রূপান্তর করে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
তবে শুধুমাত্র আশীর্বাদ ভবনেই নয়, কাটরার অন্যান্য কোয়ারেন্টিনে সেন্টারের বাসিন্দাদের জন্যও সকাল, দুপুর, রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষ। মার্চ মাস থেকে চলছে সেই কাজ। এ জন্য এখনও পর্যন্ত ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন তারা। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তারা ব্যয় করেছেন দেড় কোটি টাকা।