করোনা শনাক্ত করার কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয়ার কথা বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১২ মে) বিএসএমএমইউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণস্বাস্থ্যকে এই চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বেলা দুইটায় বিএসএমএমইউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার খরচ বাবদ চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা সরকারি খরচ, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। দুপুর দুইটায় চিঠি আসায় আজকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারি নাই, আগামীকাল জমা দেব। তিনি বলেন, একই সঙ্গে বিএসএমএমইউ কমিটি কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য দুই শত কিট চেয়েছেন, সেটাও আমরা আগামীকাল এগারোটার মধ্যে আমরা পৌঁছে দেব।
গণস্বাস্থ্যের করোনা কিট পরীক্ষা নিয়ে গত কয়েকদিনের বিতর্কের পর এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, কিট পরীক্ষার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) ৫০ হাজার টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ইতোমধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস পরীক্ষার ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিট পরীক্ষার অনুমতি দেয় বাংলাদেশের ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।