দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কক্সবাজারের মহেশখালী থানায় সংঘটিত একজন কলেজ ছাত্রের হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর মামলা রুজু করা হয়েছে। গত শনিবার (৯ মে) ‘পাঁচ দিনেও হত্যা মামলা থানায় রেকর্ড না করার অভিযোগ, মহেশখালী দ্বীপে এক সপ্তাহে ৪ খুন’ শীর্ষক সংবাদটি কালের কণ্ঠ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল।
সংবাদটি প্রকাশের পরের দিনই রবিবার মহেশখালী থানায় কলেজছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ (২১) হত্যাকাণ্ডের মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ ও গ্রামাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে গত ২ মে দ্বীপের শামলাপুর ইউনিয়নের জেএমঘাট নয়াপাড়া গ্রামে। প্রেমঘটিত ঘটনার জের ধরে মেহেদী হাসান মিরাজ (২১) নামের কলেজছাত্রকে প্রতিপক্ষ বেদম মারধর করে।
পরের দিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মেহেদী ছিলেন পটিয়া সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। এ ব্যাপারে নিহত কলেজছাত্রের বাবা আবদুস শুকুর পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা নিয়ে গেলে ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। নিহত কলেজছাত্র মিরাজের ভাই আবু হানিফ অভিযোগ করেন, স্থানীয় শামলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ওসমানের হুকুমেই তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত কলেজছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজের বাবা আবদুস শুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ওসমানকে হুকুমের আসামি করায় পুলিশ মামলাটি রুজু করতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি হত্যা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করায় পুলিশ মামলা নিতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত কলেজছাত্রের পরিবার।
এ বিষয়ে থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পরস্পর খবর পাচ্ছিলাম যে, যেসব লোকজন এ ঘটনায় জড়িত নন সেসব ব্যক্তিকেও আসামি করা হচ্ছে তাই আমি সঠিক তথ্য দিয়ে অভিযোগ দিতে বলেছিলাম মাত্র।’
তিনি বলেন, গত রবিবারই নিহতের পরিবারের লোকজনদের খবর দিয়ে থানায় এনে হত্যাকাণ্ডের লিখিত এজাহার অনুযায়ী ১৩ জনের বিরদ্ধে হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।