রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকায় পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে তোফাজ্জল হোসেন (৪০) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহ’ত্যা করেছেন। করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ আসার পরও হতাশায় আত্মহ’ত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।সোমবার (৪ মে) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি এসবির প্রোটেকশন শাখায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নি’হত পুলিশ সদস্য খিলগাঁও তিলপাপাড়ার একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সকালে পাঁচতলার ছাদে গিয়েছে লাফিয়ে পড়ে আত্মহ’ত্যা করেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নি’হত তোফাজ্জল বাসা থেকে দরজা খুলে বের যাওয়ার কিছু সময় পর পাঁচ তলার ছাদ থেকে ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পান তার স্ত্রী। এরপর বাসার অন্যরা বের হয়ে দেখেন বাসার সামনের রাস্তায় তোফাজ্জলের ।র’ক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।
পরিবারের দাবি, সম্প্রতি করোনা টেস্টে তার ফলাফল নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু তিনি ফলাফলে সন্তুষ্ট ছিলেন না। সবসময়ই দুশ্চিন্তায় থাকতেন যে, হয়তোবা তার করোনা হয়েছে। চিন্তায় চিন্তায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।আর এ কারণেই তিনি আত্মহ’ত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তার স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, তার স্ত্রীর দাবি সঠিক কি না সেটা যাচাই করা হচ্ছে। পারিবারিক কোনো কলহ বা আত্মহ’ত্যার অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোফাজ্জল হোসেন কয়কদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এরপর তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা তার পরীক্ষা করেন। কিন্তু পরীক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন বলে তার স্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন।’
স্ত্রীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘তোফাজ্জল ভাবছিলেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, হয়তো টেস্টে ধরা পড়েনি। গত কয়েকদিন ধরে এসব চিন্তায় তার ঘুম হচ্ছিল না। তাই রবিবার (৩ মে) রাতে ছয়টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে তিনি ঘুমানোর চেষ্টা করেন। এরপরও ঘুম আসেনি তার। পরে আজ সকালে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহ’ত্যা করেছেন তিনি।’তবে আত্মহ’ত্যার অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।