পরিবার সম্পর্ক মেনে না নেওয়াতে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ে প্রেমিকা। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের হাতে প্রাণটাই খোয়াতে হলো প্রেমিকার। বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি করায় শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কেটে ৩৫ টুকরা করেন তার প্রেমিক আফতাব আমীন পুনাওয়ালা।
ভারতের নয়াদিল্লির মেহরৌলিতে ঘটেছে এমন নৃশংস ঘটনা। এ ঘটনায় গত শনিবার আফতাবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাইয়ে কল সেন্টারে কাজ করতে গিয়ে আফতাবের সঙ্গে পরিচয় হয় শ্রদ্ধার। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কিন্তু শ্রদ্ধার পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। প্রেমের টানে আফতাবের হাত ধরে ঘর ছাড়েন শ্রদ্ধা। পরে দিল্লির মেহরৌলিতে একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন তারা।
গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার প্রেমিক। এরপর মরদেহ কেটে ৩৫ টুকরা করেন এবং টুকরোগুলো রাখার জন্য একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। পরবর্তী ১৮ দিন দিল্লির আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে টুকরোগুলো ফেলে দেন তিনি। এজন্য প্রতিদিন রাত দুইটায় বাসা থেকে বের হতেন আফতাব।
এদিকে শ্রদ্ধাকে ফোনে না পেয়ে তার বাবা বিকাশ মাদান গত ৮ নভেম্বর দিল্লি আসেন। কিন্তু মেহরৌলিতে পৌঁছে তিনি মেয়ের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ দেখতে পান। এরপর মেহরৌলি পুলিশের কাছে তার মেয়ে অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানান, শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
আফতাবকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এবং শ্রদ্ধার মরদেহ সন্ধান করছে।