যুক্তরাষ্ট্রে পুলি’শের নি’র্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্ল’য়েডের হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘটনায় তোল’পাড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী নৃশংস এই হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ করোনার এই দুঃসময়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন ফ্লয়েডের মৃ’ত্যুর বিচারের দাবিতে। টেক্সাসের হিউস্টনের বাসিন্দা ফ্লয়েড। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মিনিয়াপোলিসে বসবাস করেছিলেন। ফ্লয়েড শহরের একটি নৈশক্লাবের নিরা’পত্তারক্ষীর কাজ করছিলেন।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আমেরিকার কয়েক লাখ মানুষের মতো তিনিও বেকার হয়ে পড়েছিলেন। এবার দেখা গেছে মৃ’ত্যুর আগে ফ্লয়েডের সাথে ঠিক কি ঘটেছিল।একটি ২০ ডলারের জাল নোটকে ঘিরে শুরু হয় ঘটনার সুত্রপাত। ২৫ মে সন্ধ্যায় কাপ ফুডস নামের একটি মুদি দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনেছিলেন। ক্রেতা জাল নোট নিয়ে জালিয়াতি করেন সন্দেহে দোকানের কর্মচারী পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু ওই দোকানের মালিক মাইক আবুমায়্যালেহ এনবিসিকে বলেন, ‘ফ্লয়েড কাপ ফুডসে নিয়মিত আসতেন।
তিনি ছিলেন বন্ধুত্বপূর্ণ চেহারার মানুষ এবং মনোরম একজন গ্রাহক। তিনি কখনও কোনও ঝামেলা করেননি।’ কিন্তু ঘটনার দিন আবুমায়্যালেহ দোকানে আসেননি। কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত নথি অনুসারে, ওই কর্মচারী রাত ৮টা এক মিনিটে ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলি’শকে খবর দেন। ওই কর্মচারী লোকটিকে ‘মা’তাল’ এবং ‘নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করত পারছিলেন না’ বলে জানান।
৮টা ৮ মিনিটের দিকে দুই পু’লিশ অফিসার হাজির হন। ফ্লয়েড দুজন লোকের সঙ্গে কোনে পার্ক করা একটি গাড়িতে বসে ছিলেন। অফিসারদের একজন টমাস লেন তার ব’ন্দুক তাক করে ফ্লয়েডকে তার হাত তোলার নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা ফ্লয়েডকে তাদের স্কোয়াড গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে ধ’স্তাধস্তি শুরু হয়। তখন তাকে হাত’কড়া পরানো হয়। রাত ৮টা ১৪ মিনিটের দিকে ফ্লয়েড মাটিতে লু’টিয়ে পড়েন।
তখনই ঘটনাস্তলে পৌঁছান চৌভিন। তিনিও তাকে গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করেন। রিপোর্টে বলা হয়, ৮টা ১৯ মিনিটে চৌভিন ফ্লয়েডকে নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে আবার ফ্লয়েড মাটিতে পড়ে যান। এরপর তার ওপর ঝাপিয়ে পড়েন চৌভিন। শুরু হয় হ’ত্যার চি’ত্রায়ন, যা বহু পথচারীর মোবাইলে ধারণ হয়েছে। তিনি তার বাম হাঁটুকে ফ্লয়েডের মাথা ও ঘাড় চেপে ধরেছিলেন।
ফ্লয়েড ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাকে হ’ত্যা করবেন না’ বলে অনুনয় বিনয় করছিলেন। তিনি বারবার তার মায়ের কাছে যাওয়ার আর্তি জানাচ্ছিলেন। রিপোর্টে বলা হয়, আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড এভাবে ফ্লয়েডের ঘোড়ে হাঁটু চেয়ে রেখেছিলেন চৌভিন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে হেনেপিন কাউন্টি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হলে এক ঘন্টা পরে তাকে মৃ’ত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনার পর চৌভিনের (৪৪) বিরুদ্ধে হ’ত্যার অ’ভিযোগ আনা হয়েছে। ফ্লয়েডের মৃ’ত্যুর মূল ঘটনাটি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘটেছিল।