Breaking News

ফখরুল-আব্বাসের ফের জামিন আবেদন, যা জানা গেল

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে ফের জামিন আবেদন করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
মেজবাহ জানান, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আরও কয়েকজন আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়েছে যা আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগেও গত ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন করা হয়েছিল।
নয়াপল্টনের এই মামলায় ৪৫১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকা উল্লেখযোগ্যরা হলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব।

গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত তিনটায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তাদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদের ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে আটক করা হয়। তাদের ৮ ডিসেম্বর আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

Check Also

আ. লীগ কী বললো সেটা নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথা নেই: খসরু

আওয়ামী লীগ কী বললো সেটা নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির …