ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, আধুনিক রাষ্ট্রে বহুদলীয় রাজনীতির সর্বজন স্বীকৃত পন্থা। বাংলাদেশের সংবিধানে শাসন ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতা করা, নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকা, ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করা এমনকি সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করাও বৈধ বরং এটা আমাদের রক্তে কেনা অধিকার।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দমনমূলক রাজনীতি চর্চা করছে। বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের আটক করা দমনমূলক রাজীতির নগ্ন দৃষ্টান্ত। একধরনের দমনমূল রাজনীতি পরিহার করে উন্মুক্ত রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এই ভদ্রতাও রক্ষা করা হচ্ছে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের শীর্ষ নেতাদেরকে হয়রানিমূলক মামলায় আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিন।
আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যারয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার উদ্যোগে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকার সাবেক মেয়র প্রার্থী আলহাজ¦ আব্দুর রহমান, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, এ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমান শেখ, জান্নাতুল ইসলাম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ মকবুল হোসাইন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ৫১ বছরের স্বাধীন একটা দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের এভাবে গ্রেফতার করা এবং রিমান্ডের নামে হয়রানি করা রীতিমত অভদ্রতা। এটা কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের শীর্ষ নেতাদেরকে হয়রানিমূলক মামলায় আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিন এবং তাদের নামে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করুন। সকলকে সুস্থ্য, স্বাধীন রাজনীতি করার সুযোগ করে দিন।
