নরসিংদীর বেলাবতে স্ত্রী আয়েশা আক্তারের (৩৮) দায়ের কোপে তার স্বামী অহিদুজ্জামান (৬৫) এর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের নিলক্ষীয়া গ্রামের অহিদুজ্জামানের বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল-আমিন।
নিহত অহিদুজ্জামান উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের নিলক্ষীয়া গ্রামের মুত সুলতান মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার রাতে নিলক্ষীয়া গ্রামে বাড়ির পাশে অহিদুজ্জামান এর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত অহিদুজ্জামানের ঘরের দরজায় রক্তের সামান্য দাগ পাওয়া যায়। এছাড়া আশে-পাশের আলামত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় খুনটা ঘরের ভিতরে হয়ে থাকতে পারে।
পরে পুলিশ মৃতের স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানায়, তার স্বামী মাদকসেবী। তিনি মাদক সেবন করে প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
বুধবার রাত ৯টা থেকে আয়েশার সাথে ঝগড়া ও গালিগালাজ শুরু করে অহিদুজ্জামান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অহিদুজ্জামান দা দিয়ে স্ত্রীকে কোপ দিতে আসলে দুইজনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্ত্রী আয়েশা আক্তার স্বামীর হাত থেকে দা নিয়ে গলায় কোপ দেয়। এতে অহিদুজ্জামান গলাকেটে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে খাটের ওপর পড়ে গিয়ে মারা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, আয়েশা আক্তার তার স্বামীকে হত্যার পর তার লাশ কোলে করে ঘরের বাহিরে উঠানে রেখে আসে। বিছানায় থাকা কম্বল ও কাঁথা তিনি ধুয়ে রেখে দেন।
পরে ঘর হতে বের হয়ে তিনি চিৎকার করে তার স্বামীকে কে বা কারা হত্যা করেছে বলে প্রতিবেশীদেরকে জানায়। এ ঘটনায় বেলাব থানার মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।