ঠাকুরগাঁওয়ে নিজের বউকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে না করতে পেরে খাবারের সাথে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেহন গ্রামের আব্দুর বসিরের মেয়ে কুলসুম আক্তারের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক গত ২৫মার্চ বিয়ে হয় রহিমানপুর ইউনিয়নের গেদিপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেনের সাথে। কিন্তু পারিবারিক কু-প্ররোচনায় পড়ে ২৯ সেপ্টেম্বর রাকিব কুলসুমকে তালাক দেয়। পরবর্তীতে রহিমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও রায়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ২৩ অক্টোবর চুড়ান্ত ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে রাকিব কুলসুমের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। পারিবারিক চাপের কারণে কুলসুম রাকিবের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) কুলসুম পল্লীবিদ্যুৎ বাজারে কসমেটিক্স ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে আসলে রাকিব টের পেয়ে তাহের আলীর ছেলে জাকিরকে সাথে নিয়ে কুলসুমের সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু কুলসুম আপত্তি করলে রাকিব মাত্র দশ মিনিট কথা বলবে বলে তার দোকানে নিয়ে যায়। এসময় রাকিব পুনরায় বিয়ে করবে বলে কুলসুমকে জোর করে। কিন্তু কুলসুম তার কথায় পাত্তা না দিলে রাকিব কান্নাকাটি করতে থাকে এবং বলে তুমি ছাড়া আমি এই পৃথিবীতে বাঁচতে পারবোনা। এসময় রাকিব জাকিরকে পাশের হোটেল থেকে নাস্তা আনতে বলে। কুলসুম আপত্তি করলেও তাকে সিংগাড়া ও জেলাপি জোর করে খাওয়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অসস্থি অনুভব করে। বাড়ি ফিরে এসে কুলসুম তার পরিবারকে জানায় রাকিব তাকে নাস্তা খাওয়ানোর পর থেকেই তার বুক জ্বলে যাচ্ছে। সে মনে হয় আমাকে খাবারের সাথে বিষ অথবা কিটনাশক খাইয়ে দিয়েছে।
বসির দ্রুত সময়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে কুলসুম হাসপাতালে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। পরে বসির বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামাল হোসেন জানান, এখনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।