রংপুরের সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।তারা জানান, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট থেকে কাকিনার শেখ হাসিনা সেতু হয়ে আসতে হচ্ছে। প্রথমে তাদের শেখ হাসিনা সেতুতে ঢুকতেই পুলিশের তল্লাশিতে পড়তে হচ্ছে। এরপর রংপুর মেট্রোপলিটনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত পুলিশ লাইনসের সামনে প্রতিটি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার কাগজপত্রসহ যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর নগরীর সাতমাথা, মডার্ন মোড়, টার্মিনাল এলাকা ও মেডিকেল এলাকায় যেকোনো জটিলতাসহ নাশকতা এড়াতে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে আর কোন চেকপোস্ট চোখে পড়েনি।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, পুলিশের তল্লাশি থেকে বাঁচতে নানা কৌশলও অবলম্বন করছেন সমর্থক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর মধ্যে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা বিএনপি সহসভাপতি আবুল হাশেম চৌধুরী শুক্রবার সকালে জনসভা স্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, রৌমারী থেকে প্রথমে নৌকায় নদী পার হয়ে দুটি মাইক্রোবাসে ২৭ বিএনপি নেতাকর্মী আসছিলেন। চিলমারী পর্যন্ত এলেও উলিপুরে পুলিশে বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে তারা কুড়িগ্রামে বিয়ে বাড়িতে দাওয়াতে যাচ্ছি বলে পুলিশকে বোকা বানিয়ে সমাবেশ স্থলে চলে আসেন। এরপর রাতে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থেকে সকালে সমাবেশের মাঠে আসেন।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বিভাগের কোনো জেলা থেকে বাস ছেড়ে রংপুর আসেনি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, মেডিকেল মোড় বাসস্ট্যান্ডের সামনে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার বাস।
এসব বাসের চালকরা বলছেন, অধিকাংশ বাস রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে এসেছে। পথে পথে গাড়ি থামিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চেইন মাস্টার জানান, মালিক সমিতির নেতারা সকাল থেকে পাহারা দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি।