বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবিলা করতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতো আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু পরাজিত শক্তির কাছে কখনোই মাথা নত করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর কবির। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি সমাবেশ করে; সেই সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দণ্ডিত আসামি লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালামের মুক্তি চাওয়া হয়। এতে থেকেই তাদের মতলব ও উদ্দেশ্য বোঝা যায়।
বিএনপির সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। স্বাধীনতার মাস, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় কুখ্যাত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার স্লোগান দেন। তাঁর বাবাকে একজন শহীদ হিসেবে দাবি করেন। তখন প্রশ্ন জাগে, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল এবং শহীদ হলেন তারা শহীদ না কি একাত্তরের ঘাতকেরা শহীদ? এটা দেশদ্রোহিতার শামিল।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘাতকদের হাত থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী, একজন ছোট্ট শিশুও রক্ষা পায়নি। তারা এখনো সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের নেতা সাখাওয়াত হোসেন, শরিফ আশরাফ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার।