কর্ণফুলী নদীতে এফভি মাগফেরাত নামের একটি ফিশিং জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন স্থানে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
তারা হলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রধান কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও ডক কর্মচারী রহমত আলী, অপর একজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। নিখোঁজ অপর দুই জনের খোঁজ এখনো মেলেনি।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে আহত জাহাজের ডুবুরি মো. ফয়সাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, র্যাংকন ওশেনা লিমিটেডের মালিকানাধীন এফভি মাগফেরাত জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন এসে তাদের লাশ শনাক্ত করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিখোঁজ অপর দুইজনের খোঁজ মেলেনি এখনো।
ধারণা করা হচ্ছে, তাদের লাশ ডুবন্ত জাহাজের কেবিনে আটকে থাকতে পারে।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ১টার সময় র্যাংকন ওশেনা কম্পািনর এফবি মাগফেরাত নামের একটি মাছ ধরার জাহাজ সি রিসোর্স নামের ডকইয়ার্ডে মেরামতের জন্য ওঠানোর সময় পাখা খুলে যায়। এ সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের বয়া ও অন্যান্য জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. রাজীব বলেন, ’ডকইয়ার্ডে তোলার জন্য আমরা চারজন জাহাজে উঠি। এটি ঘোরানোর সময় প্রপেলার (পাখা) খুলে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়ে বয়া ও পাশের জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। আমরা তিনজন তীরে ওঠে এলেও রহমত এখনো নিখোঁজ। ঘটনার সময় নদীতে প্রবল স্রোত ছিল। ‘
এদিকে জাহাজটি উদ্ধারে এখনো কাজ শুরু করেনি জাহাজের মালিকপক্ষ বা ডকইয়ার্ড। ডুবে যাওয়া জাহাজটি নদীর তলদেশ থেকে তুলে আনতে টাগবোট বা সাহায্যকারী জাহাজ প্রয়োজন।
দুর্ঘটনার পর জাহাজটির নিবন্ধনকারী সংস্থা নৌ বাণিজ্য অফিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংস্থাটির প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার রফিকুল আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।