বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে শোকজ করা হতে পারে বলে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতকে নিয়ে তিনি যেভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন সেজন্য হয়তো তাকে শোকজ করা হতে পারে। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন যে, বিএনপির চলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। লন্ডনে থেকে তারেক জিয়া যেভাবে নিদের্শনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেভাবে তা বাস্তবায়ন করেন মাত্র। তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখন বিএনপির সরকার বিরোধী আ’ন্দোলনও চলছে তারেক জিয়ার নিদের্শে। নেতাকর্মীরা বলছেন লন্ডন থেকে যেভাবে ওহী নাজিল হয় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সেভাবে তা বাস্তবায়ন করেন।
সম্প্রতি টুকু বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতের আদর্শ এক নয়। এর আগে তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের প’র’কীয়া চলছে। জামায়াতকে নিয়ে একের পর এক এ ধরনের মন্তব্যের কারণে বিএনপির অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েছেন। কারণ লন্ডন থেকে এ ধরনের কোন নিদের্শনা আসেনি। তাছাড়া বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা বলছেন যে, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তারেক জিয়ার এক ঘনিষ্ঠ স’ম্প’র্ক রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটও দীর্ঘদিনের। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির স’ম্প’র্ক ছিন্ন করার জন্য কূটনৈতিকদের চাপ থাকলেও সেটা করা হচ্ছে না একমাত্র তারেক জিয়ার কারণে। কারণ তিনি চান বলেই বিএনপি এখনো জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ আছে। যদিও জামায়াতের সঙ্গে স’ম্প’র্ক ছিন্ন করার পক্ষের দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী। কিন্তু এতে সায় নেই তারেক জিয়ার। সেই বিবেচনায় টুকু দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। আর এজন্য হয়তো তাকে শোকজ করা হতে পারে বলে দলের মধ্যে জো’রালো গুঞ্জন রয়েছে।
এর আগেও দলীয় শৃঙ্খলার ভঙ্গের অ’ভিযোগে বিএনপির দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে শোকজ করা হয়েছে তারেক জিয়ার নিদের্শে। শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা’ণ্ডের জন্য শোকজ পাওয়ার পর দলে তাদের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। দলের মধ্যে তারা এক ধরনের কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা’ণ্ডের জন্য বিএনপির আরেক নেতা আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে পদাবনতি দেয়া হয়েছে। সেই বিবেচনায় এবার টুকুকেও শোকজ করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এখন দেখার বিষয় লন্ডন থেকে কি ওহী নাজিল হয়।