বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্র অধিকার পরিষদের আহত নেতাদের দেখতে শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে যান ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। এ সময় আহত নেতাদের খোঁজখবর নেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সেল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়। ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আধিপত্যবাদ বিরোধী প্রতিবাদী চেতনার অবিনাশী প্রতীকে পরিণত হওয়া বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। কিন্তু ছাত্রলীগের বর্বর নির্যাতনে নিহত আবরারের হত্যাকারীদের উত্তরসূরী আধিপত্যবাদের দোসরদের সেই আয়োজন পছন্দ হয়নি। তাই বিনা উস্কানিতে স্মরণসভায় হামলা করে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন, মোল্লা জাহিদ, আহসান সানাউল্লাহ, পারভেজ মাহমুদসহ অনেক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।
আহত নেতাকর্মীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর সেখানেও ছাত্রলীগ হত্যার উদ্দেশ্য নির্মমভাবে হামলা করে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করে। মারধরের পর পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের বদলে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ আক্রান্ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কখনো এদেশে বিরোধী মত সহ্য করতে পারেনি। সন্ত্রাস রাহাজানি অস্ত্রবাজির রাজত্ব কায়েম করে তারা একচেটিয়া দখলদারিত্ব কায়েম রাখতে চায়। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হলে সব সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’র ব্যানারে এই সভার আয়োজন করেছিল ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন।