ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় একদফা হামলার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এরপর ঢামেক থেকে ২০ জনকে পুলিশ আটক করে। তাদের মধ্যে আহত কয়েকজন রয়েছেন বলেও অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, রাজু ভাস্কর্যে হামলার পর ছাত্র অধিকারের আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে মেডিকেলের জরুরি বিভাগে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একদল নেতা। সেখানে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীদের মারধর ও হেনস্তা করেন তারা। পরে পুলিশ ছাত্র অধিকারের কয়েক নেতাকর্মীকে গাড়িতে তোলে। এ সময় পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ তাদের মারধর করে। তবে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের থামাতে তেমন কিছু করেনি।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে আমাদের আহত নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ আমাদের আটকে রাখলে শাহবাগ থানা-পুলিশ এসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেনসহ প্রায় ১৫ জনকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে কয়েকজননে আটক করা হয় বলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেলে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত সভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
হামলায় আহত ১২ নেতাকর্মীকে তাৎক্ষণিক ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাদের দেখাশোনা করছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের আরো কয়েকজন কর্মী।
তারা জানান, আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে ছাত্রলীগ তাদের ওপর আবার হামলা চালায়।
আটকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির তারিকুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, সানাউল্লাহ, মামুনুর রশীদ, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আখতার, সেক্রেটারি আকরাম, ইউসুফ রাকিব, আবু কাওসারের নাম জানা গেছে।
জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিকেলের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।