বগুড়ার শেরপুরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে ভোটারের ছবি তুলে টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় নির্বাচন অফিসের সহকারী ক্যামেরাপার্সন আল আমিনকে মারধর করেছে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গাড়িদহ মডেল ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ মডেল ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ছবি তোলা কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৬ অক্টোবর ভোটারের ছবি তোলার সময় উপজেলার নির্বাচন অফিসের সাপোর্ট টিম খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের সহকারী ক্যামেরাপার্সন আল-আমিন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে একটি মেয়ের ভিডিও করে নেয়। এরপর ওই ভিডিও দ্বারা টিকটক ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
পরে টিকটিক ভিডিওটি ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান এবং পর দিন শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে এসে ওই ক্যামেরা সহকারী আল-আমিনকে মারধর করেন। পরে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা তরিবর রহমান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদকালে ছবি তুলে ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন ক্যামেরাপার্সনকে মারধর করেছেন। তবে এখন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোছা. আছিয়া খাতুন বলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা শুনেছি। তবে ওই ছেলে আমাদের নির্বাচন অফিসের কেউ নয়।
এ বিষয়ে শেরপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের স্থলে টিকটক ভিডিওর ঘটনায় মারধরের ঘটনা শুনেছি, তবে এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।
