ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়েছেন চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ও তার গাড়ি চালক মো. ইয়াছিন বাদশা।
এ সময় ডাকাতরা তাদের কুপিয়ে নগদ টাকা মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ওসি বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অজ্ঞাত ৪/৫ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
গত শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত ওসি আলমগীর ও গাড়ি চালক ইয়াছিন বাদশা চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসানউল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ও তার গাড়ি চালক মো. ইয়াছিন বাদশা প্রাইভেটকারযোগে ঢাকা থেকে গত শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তার কর্মস্থলে যাওয়া পথে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় টোল দেয়ার জন্য গাড়ি থামান। এ সময় তার আগে ৬-৭টি গাড়ি টোল দেয়ার লাইনে ছিল। এতে করে সামন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় অতর্কিতভাবে ওসিকে বহনকারী প্রাইভেটকার যাহার নং চট্টগ্রাম মেট্রো গ- ১২৬৮৫১ চালকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। পরে ডাকাতরা প্রাইভেটকারের পেছনের দরজা টেনে হেঁচড়ে খুলে ওসি আলমগীরকে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা, ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে তারা দ্রুত গৌরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. নবীর হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য ওসির প্রতিনিধি থানায় এসেছেন। মামলাটি সোনারগাঁ থানা পুলিশ তদন্ত করবেন।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ওসিকে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হাইওয়ে সড়ক নিরাপত্তা দেয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশ কাজ করার কথা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।