রাজধানীতে মাদক মামলায় এক পথচারীকে ফাঁসানোর অভিযোগে পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পল্লবী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আরিফুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ব্যাপারে কমিটিকে ৫ কর্মদিবসে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলম, তার দুই সোর্স রুবেল হোসেন ও সোহেল রানা।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত খবরের মাধ্যমে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে এএসআই মাহবুব তার সোর্স রুবেলের কাছ থেকে এক প্যাকেট ইয়াবা নিয়ে আসে। পরে তা খলিলুর রহমান নামে এক পথচারীর পকেটে ঢুকিয়ে দেন। পথচারীকে মাদক রাখার অভিযোগে আটক করে মারধর করেন এএসআই। এরপর খলিলকে পল্লবী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । ঘটনার পুরো চিত্রটি ধরা পড়ে টেলিভিশনের ক্যামেরায়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করেন এএসআই। বর্তমানে এ মামলায় কারাগারে আছেন খলিল।
ডিএমপির পল্লবী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবদুল হালিম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নজরে আসার পর বুধবার ( ৭ সেপ্টেম্বর ) রাতে পল্লবী থানার পুলিশ বাদী হয়ে মাহবুব, সোহেল ও রুবেলের বিরুদ্ধে মাদক রাখা ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মাদকদ্রব্য আইনে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এএসআই মাহবুব আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।