সুমন আল হাসান,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, একাত্তরের ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ থেকে বেজেছে। ঊনসত্তরের ঘণ্টাও বেজেছে। প্রয়োজনে আবারও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজানো হবে। কথায় কথায় বলে রাজপথ দখল করবে। যদি পুরুষ হয়ে থাকিস, পুরুষ বা নারীর মধ্যে তো কিছু একটা আছে। ওইটাও যদি হয়ে থাকেন নামেন মাঠে। আমাদের শরীরে জং ধরে গেছে। আসুন মাঠে নামি। ঢাকায় নামবেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা গিয়ে দেখা করে আসবো।
সোমবার (২২ আগষ্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।শামীম ওসমান বলেন, ওরা আঘাত করতে আসবেই। আগে কোমরে অনেক কিছু থাকত, শক্তি। এখন আমার শক্তি একটাই। সেটা আল্লাহ। মৃত্যুতো আসবেই। কিন্তু দেশের সাথে বেঈমানি করব না।তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যার বক্তব্যের পর আমার তিনদিন ঘুম হয়নি। যখন শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জানি আমার বাবার লাশ দুই দিন পড়েছিল। রিলিফের কাপড় দিয়ে আমার বাবাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। আমি জানি আমি মরে গেলেও কিছু হবে না। আমি এই কথা নিতে পারিনি
। কারণ আমি তাকে ভালোবাসি। তার মতো আল্লাহওয়ালা দেশপ্রেমিক মানুষ কম দেখেছি।নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, নেত্রী বলেছিল যখনই হতাশ হবা রাসূল (সা.) এর জীবনী পড়বা। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি মানুষের জন্য কাজ করেন। আর তিনি মরে গেলে কিছু হবে না? আপনি যেভাবে মানুষকে ছাদ দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন। তাদের হাত আল্লাহ কবুল করবে। তারা ষড়যন্ত্র করবে কিন্তু পারবে না। শয়তান আল্লাহর সঙ্গে জিতে না।শামীম ওসমান বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বেঁচে থাকি আর না থাকি ক্ষমতায় শেখ হাসিনাই থাকবে। চ্যালেঞ্জ করে বললাম। নামতে দেন। লগি বৈঠা দেখেছেন। আরও অনেক কিছু দেখবেন। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেন। কোনো আপত্তি নেই। পেছনের দরজা দিয়ে আসতে যদি চেষ্টা করেন, পারবেন না।
আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এ যুদ্ধ হবে দেশ বাঁচানোর যুদ্ধ।তিনি বলেন, নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার করুন। যাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বুঝিয়ে বলুন। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের বলবো আসুন। এখন হাতে হাত রেখে দেশ বাঁচানোর সময়। আমরা ভালো মানুষগুলোকে একসাথে নিয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ বানাতে চাই।নারায়ণগঞ্জের এই সংসদ সদস্য বলেন, সকলে ঘুম থেকে ওঠেন। ক্ষমতার চর্বি গায়ে লাগাবেন না। ওরা ধর্মের নামে একাত্তর সালে মানুষ মেরেছে। ওরা এখন বড় বড় কথা বললে আমরা কি শুনবো? আপনারা শুধু শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন।
আমার কেন যেন মনে হয় আমি বেশিদিন নেই। মনের মধ্যে ঢুকে গেছে এটা। তাই আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাই।এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রেনুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব হোসেন ও যুবলীগ নেতা মহাসেন ভূঁইয়া প্রমুখসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।