স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া গাড়িচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযােগের সাথে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মালেকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযােগের দায় তার ব্যক্তিগত।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ড. মোস্তফা খালেদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর গঠিত হয়। অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হােসেন গত ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক হিসেবে যােগদান করেন। গাড়িচালক আব্দুল মালেককে গত ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়।
প্রতিষ্ঠার সময় থেকে আজ পর্যন্ত নবগঠিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কোনো ধরনের কেনাকাটা, কর্মচারী নিয়ােগ, পদায়ন বা পদোন্নতির কাজ করেনি। কাজেই গাড়িচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযােগের সাথে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো পরিবহন পুল নেই। মালেকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযােগের দায় তার ব্যক্তিগত।
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আদেশে বলা হয়, যেহেতু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক (প্রেষণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত) আব্দুল মালেককে ২০ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রে’প্তার করেছে, সেহেতু বিএসআর পার্ট-১ এর ৭৩ বিধি (নোট-২) ধারা মোতাবেক তাকে ওই দিন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি আইন অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন