সমকামিতা করে পালিয়ে যাওয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৫টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার শাহমখদুম থানাধীন নওদাপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ওই দুই তরুণী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন এক তরুণীর বাবা।
তারা হলেন- বরিশাল নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের আগরপুর রোডস্থ রাজিয়া ম্যানশনের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ফাহমিদ আজমিন তামান্না (১৬) ও বিএম কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী নাসির উদ্দিনের কন্যা তামান্না আক্তার (১৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আল মামুন বলেন, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আগরপুর রোডের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের আমজাদ মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আ. রহমান দুলাল ফকিরের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন রানা, স্ত্রী আলেয়া বেগম ও মেয়ে জামাই মো. মাসুমকে আসামি করা হয়। এমনকি অপহরণ মামলায় প্রধান আসামি উজ্জ্বল হোসেন রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত চার মাস ধর ঐ মেয়েসহ অপর তরুণী নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে তাদের সন্ধান নিশ্চিত হতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। এতে ওই দুই তরুণীর অবস্থান রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় নিশ্চিত হওয়া যায়।
এরপর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম শনিবার দিনভর রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। পরে শাহমখদুম থানাধীন নওদাপাড়া এলাকায় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়ি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
এসআই মামুন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত তরুণীরা স্বীকার করেছে তারা অপহরণ হয়নি। দু’জন সমকামিতা করে স্বেচ্ছায় পালিয়ে যায়। এমনকি দু’জন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছিল। অপহরণ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছে ঐ তরুণী।
ফিরোজ আলম মামুন বলেন, রোববার সকালে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকেদের খবর দেয়া হয়। দুপুরে তাদের দু’জনকে আদালতে হাজির করা হয়।