রাজধানীর মিরপুরে জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে সড়কের পাশে জমে থাকা অবাঞ্ছিত বর্জ্য ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা দ্রুত অপসারণের লক্ষ্যে মাঠে নামছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্যাহ।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (০৬ জুন) দিনব্যাপী চিড়িয়াখানার সামনে থেকে সনি সিনেমা হল পর্যন্ত সড়কটি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এসময় এলাকার জনসাধারণদের উদ্দেশ্যে করোনা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ সকল মহামারির ব্যাপারে সচেতনতা মূলক পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।।পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম আট নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন অন্যান্য এলাকায় অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কাউন্সিলর।
জানা যায়, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মিরপুরজুড়ে ফুটপাতগুলো দখল করে বাণিজ্য, নৈরাজ্য, রাজনীতি বা হানাহানি নতুন ব্যাপার নয়। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধায় রাজপথ থেকে গলিপথ ঘেঁষে ফুটপাতের জন্ম হলেও বেদখল কাণ্ডে জনগণের চলাচলের সুবিধা শিকেয় উঠেছিল।
মহানগরবাসীর করের টাকায় ফুটপাতের জন্ম ঘটলেও এর মালিকানা কাগজে কলমে দুই সিটি কর্পোরেশনের। কিন্ত বাস্তবের চিত্রটি ভিন্ন। ফুটপাতের মালিক ক্ষমতাশালীরা, প্রভাবশালীরা।
মিরপুরবাসীর অভিযোগ, ফুটপাত দখলমুক্ত না থাকায় যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থেকে অসহনীয় ভোগান্তি পোহালেও কিছুই করার থাকে না তাদের। যদি ফুটপাতে হাঁটার পরিবেশ থাকত তাহলে যানজটও কম হতো। মানুষ গণপরিবহন ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যে যেত। বর্তমানে কার্যত লকডাউনের কারনে রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটপাতই ফাঁকা ছিল। তবে অস্থায়ীভাবে সরকার কর্তৃক লকডাউন প্রত্যাহারে ফের সেগুলো বেদখলের তালিকায় চলে যাচ্ছিল।
তারা বলেন, মিরপুরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিড়িয়াখানার ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের পার্কিং, রোডের সনি সিনেমা হলের অদূরেই ঈদগাঁ মাঠ, মূল সড়কগু’লিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক একাধিকবার উদ্যোগ নিয়ে ফুটপাত উচ্ছেদ করলেও কয়েক মূহুর্ত পরেই আবার যে অবস্থা ছিল, সেই অবস্থাই হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্যা সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, মিরপুরের ফুটপাত ও চলাচলের পথকে জনসাধারণের ব্যবহার ও পথচারীদের জন্য অবশ্যই পরিচ্ছন্ন এবং উন্মুক্ত রাখতে হবে। আমার দায়িত্বাধীন আট নম্বর ওয়ার্ডটিকে আমি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, পরিচ্ছন্ন, জনদুর্ভোগহীন ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।