Breaking News

চাঁদপুরে শিশুকে হাত বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী আটক

চাদপুরের শাহরাস্তিতে ৫ বছরের শিশুকে হাত বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শাহরাস্তি উপজেলার বলশিদ তালুকদার বাড়িতে।

বাড়ির লোকজন হাত বাঁধা অবস্থায় শিশু জান্নাতুল মাওয়াকে (৫) সকাল সাড়ে ১০টায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী গৃহকর্মীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।

জানা যায়, উপজেলার বলশিদ গ্রামের তালুকদার বাড়ির মৃত খোরশেদ আলমের মেয়ে কাজল রেখার পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর গ্রামে বিয়ে হয়। প্রায় ৫ বছর পূর্বে কাজল রেখার স্বামী আক্তার হোসেন মারা যাওয়ার পর কাজল রেখা তার বাবার বাড়িতে তার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়াকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

তাদের বাসায় ফাতেমা বেগম নামে গৃহকর্মী কাজ করত। প্রায় ৫ মাস যাবৎ সে আর কাজে আসে না। শনিবার সকালে ফাতেমা বেগম তার ছোট ছেলে আরাফাতকে নিয়ে তালুকদার বাড়িতে আসে। সে কিছু সময় ধরে এ বাড়িতে অবস্থান করে। বেশকিছু সময় পার হওয়ার পর কাজল রেখা তার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়াকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ নিতে থাকে, একপর্যায়ে জান্নাতের নানি আনোয়ারা বেগম পুকুরে তার নাতনির মৃতদেহ ভাসতে দেখে।

তখন তিনি চিৎকার করলে লোকজন এসে মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে। মৃতদেহ উদ্ধারের দৃশ্য দেখতে পেয়ে গৃহকমী ফাতেমা বেগম তার সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশের বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ফাতেমাকে তার সন্তানসহ আটক করে।

নিহত জান্নাতের নানী আনোয়ারা বেগম জানান, ঘাতক ফাতেমা দীর্ঘদিন তাদের বাসায় কাজ করছিলেন। কি কারণে ফাতেমা এমন কাজ করেছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।

জান্নাতের মা কাজল রেখা জানান, তার মেয়ে বলশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী।

তিনি জানান, ফাতেমা এলাকাবাসীর কাছে তার মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে বলে স্বীকার করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, জান্নাতকে পুকুর থেকে উদ্ধার করার পর তার হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শিশুটির মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘাতক ফাতেমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *