বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ প্রামানিক মিস্টারকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মিস্টার চারটি হত্যাসহ নয়টি মামলার আসামি।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বগুড়া শহরতলীর শাকপালা মোড়ে স্থানীয় মসজিদের গেটে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত মিস্টার শাকপালা গ্রামের আরমান হোসেন ওরফে আরমান ড্রাইভারের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, মিস্টার শাকপালা বাসস্ট্যান্ড বায়তুস সালাম জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য যাচ্ছিলেন। মসজিদের গেটের কাছে পৌঁছার পরপরই পেছন থেকে আসা একদল যুবক কাঠ ফাড়াই করার কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি মিস্টারকে কুপিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন মিস্টারকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের পশ্চিম পাশে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। মিস্টার মসজিদে প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে কয়েক যুবক তাকে কুপিয়ে কুড়াল ফেলে রেখে অপেক্ষমাণ মোটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার লোকজন জানান, মিস্টার ছিলেন এলাকার ত্রাস। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, হত্যা ও জমি দখল ছিল তার পেশা। একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরতেন মিস্টার। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খোলার সাহস পেতো না।
বছরখানেক আগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই মিস্টার প্রকাশ্যে আসতো না। তার নামে চারটি হত্যাকাণ্ড ছাড়াও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।