Breaking News

চীনের প্রতি সংবেদনশীল হলেও সীমান্ত নিয়ে আপোষ করবে না ভারত

ফের ভারত ও চীনের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়েছে। সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান। ভারতের সিকিম ও লাখাদ সীমান্তে উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি সেনা মোতায়নে দু’দেশের পারস্পারিক সম্পর্কে বৈরিতা দেখা দিয়েছে।

ভারতীয় মিডিয়া বলছে, ভারত বরাবরই চীনের প্রতি সংবেদনশীল, তবে সীমান্ত নিয়ে কোনও প্রকার আপোষ করতে সম্মত নয়, এ ব্যাপারে কখনোই নীতি পরিবর্তন করবে না নরেন্দ্র মোদির সরকার। ভারত এও মনে করে, চীন কখনই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে চির প্রতিপক্ষ হতে পারে না তাদের। দুই দেশেরই উচিৎ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া।

হিন্দুস্তান টাইমস এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর ভারত সফর ও মামাল্লাপুরাম শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মোড় নেয়। তখন দুই রাষ্ট্রপ্রধান চলতি বছরে ভারত ও চীনের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ৭০তম বছর বড়সড় আয়োজনে উদযাপনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

ওই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে ২০২০ সালে দুই দেশের বিধানসভা, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও তরুণ সমাজ- এমনকী সেনাবাহিনীর মধ্যেও পারস্পারিক সম্পর্ক বিনিময়কে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া বিশ্বকে সাক্ষী রেখে দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে নতুন নজির স্থাপন করতে বিশেষ বৈঠক ও ৭০টি কার্যক্রমের কথাও বলা হয়। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভারত ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে।

এর মধ্যে ভারতের লাখাদ সীমান্তে মুখোমুখি দুই দেশের সেনাবাহিনী এক প্রকার যুদ্ধের প্রস্তুতির জানান দিচ্ছে। গত বছর ভারতের মামাল্লাপুরামে নরেন্দ্র মোদিও শি জিনপিং এর বৈঠকের সাত মাসের মাথায় দুই দেশের সম্পর্ক এই রকম তিক্ততায় রূপ নেয় চলতি বছরের মে মাসে, যখন উত্তর সিকিমের নাকুলায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ থেকে তাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরে।

চলতি জুনে এসেও ভারত-চীনের সম্পর্কে সেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় চীন ভারতের সম্পর্কের সবচেয়ে নাজুক দিক হলো বৈশ্বিক সমীকরণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদীয়মান পরাশক্তি চীনকে পরাভূত করবার জন্য ভারতকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু ভারত বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে নাকচ করে আসছে। চীনের সাথে নিজেরাই আলোচনা করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বাসী ভারত।

এদিকে, আগে থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীন চায় ভারত কোণঠাসা করতে। তাই দেশটি একাধারে পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে ভারতকে চাপে রাখতে চায়। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে পাকিস্তান ও চীনের দ্বন্দ্বের পর এবার নেপালও সে জোটে শরীক হয়েছে। তারা বিতর্কিত সীমান্তকে নিজেদের বলে দাবি করেছে।

এর মধ্যে লাখাদ সীমান্তে ভারত ও চীনের পাল্টাপাল্টি সেনা মোতায়েন উত্তেজনা বাড়িয়েছে দু’দেশের পারস্পারিক সম্পর্কে। ভারতীয় মিডিয়া বলছে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত, লাদাখের চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের জন্য বিমানবন্দর বানানো হচ্ছে। তবে এই রকম বৈরি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিলেও তা নাকচ করেছে ভারত ও চীন।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *