Breaking News

করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে হা’মলা, নবজাতক-মাসহ নি’হত ১৩

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে একদল বন্দুকধারীর হামলায় দুই শিশু এবং ১১ মা ও নার্সসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালের ওই হামলায় শিশুসহ গুরতর আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকারি কর্মকর্তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ-সংঘাত কবলিত আফগানিস্তানে অসহায় মানুষের সাহায্যে ওই হাসপাতালটির ওই প্রসূতি বিভাগ পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক মেডিকেল চ্যারিটি মেডিসিন সানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)। সেখানে কর্মরত বেশিরভাগই বিদেশি নাগরিক।

এছাড়া এদিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে এক পুলিশ সদস্যের জানাজায় বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। ওই বোমা হামলায় আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কারা এই হামলা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Afgan Attackপুলিশ সদস্যের জানাজায় হামলার ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে

কাবুলে দুইবার বিষ্ফোরণের শব্দ শোনার পর তার বন্দুক হামলার শব্দ শোনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল ১০টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাঁচা এক চিকিৎসক বলেছেন, বন্দুকধারীরা যখন হামলা শুরু করে তখন হাসপাতালে প্রায় ১৪০ জন মানুষ ছিলেন।

আফগানিস্তানের এক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, তিনজন বিদেশিসহ প্রায় একশ জন নারী ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে উদ্ধার করেছেন স্পেশাল ফোর্স। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, হামলাকারীরা পুলিশের পোশাক পরে হাসপাতালে প্রবেশ করেন।

হামলাস্থলের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক নবজাতককে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে সেনা সদস্যরা। তার শরীরে পেচানো তোয়ালাটা রক্তাক্ত। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তি চুক্তি’তে স্বাক্ষর করা আফগান তালেবান এই হামলায় সম্পৃত নয় বলে দাবি করেছে।

দ্য দশত-ই-বারচি হাসপাতালের প্রসূতি সেবা বিভাগটি পরিচালনা করে দাতব্য সংস্থা এমএসএফ। হাসপাতালের পেছনেই গেস্ট হাউসে অনেক বিদেশি বসবাস করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাাঁচা ওই চিকিৎসক বলেছে, বন্দুক হামলা ছাড়াও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *