রাশিয়া- ন্যাটোর যুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে এই যুদ্ধের কারনে ইউরোপ সহ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নাকাল হয়ে পড়েছে। এবং এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও পরে গিয়েছে। এবং তাদের এই যুদ্ধ চলমান থাকলে বাংলাদেশকে আরো বড় মাশুল দিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক জীন কফিল, পাঠকদের জন্য নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
রাশিয়া- ন্যাটো যুদ্ধ আগামী গ্রীষ্মেও অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশকে অনেক বড় মাশুল দিতে হতে পারে। কারণ শেখ হাসিনা সরকার ১৩ বছরের শাসনে এধরণের ধাক্কা থেকে দেশের অর্থনীতি সামাল দেয়ার মত কুশন রাখে নাই। সব কানাডা সিংগাপুর করে দিছেন।
রাশিয়া- ন্যাটো যুদ্ধটা যদি আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত কন্টিনিউ করে তাহলে ইউরোপের অর্থনীতি আরো ব্যাপাক চাপে পরবে। আর ইউরোপের অর্থনীতি বড় চাপে পরা মানে বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির উপরে সরাসরি ধাক্কা আসা। যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের দুর্বল প্রস্তুতির জন্য দেশের গার্মেন্টস শিল্প এমনেই জ্বালানি সংকটে বিপর্যস্ত হওয়ার পথে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার প্রভাবে যদি গার্মেন্টস শিল্প সাময়িক ভাবে ধসে যায় তাহলে সব স্থানে এর ভয়াবহ প্রভাব পরবে। গার্মেন্টস নন গার্মেন্টস সব ট্রেডেই ধস নামবে। আনফর্চুনেটলি জ্বালানি ও সার সংকটে কৃষিও এর বাইরে থাকবে না।
আর এই যুদ্ধে রাশিয়া পিছু হটলে বার্মা প্রেশারে পরবে এবং একপর্যায়ে তাদের পতন হবে অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধে। আর এ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা দুনিয়ায়র অন্যান্য প্রান্তে ছড়ায়ে যাবে। সম্ভবত বাংলাদেশের মানুষকে না চাইলেও হয়তো বা বার্মার সাথে অপ্রত্যাশিত যুদ্ধে জড়ায়ে পরতে হতে পারে।
বাংলাদেশের বর্তমান বিপুল ডেমোগ্রাফিক এডভান্টেজ বা কমবয়সী জনগোষ্ঠীর জন্য ভূমধ্যসাগর ট্রলারে পাড়ি দেয়া ছাড়া শেখ হাসিনা কোনো বিকল্প ব্যবস্থা রাখেনই নাই। কর্ম সংস্থানের বন্দোবস্তও করেন নাই খুব বেশি।
যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিবাদমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো এই জনগোষ্ঠীকে ব্যাবহার করবে যুদ্ধে। কে জানে হয়তো দেশের সম্পদ এ তরুণ জনসংখ্যা যুদ্ধ করতে বাধ্য হবে শ্রেফ পেটের দায়ে।
আওয়ামী লীগের কি হবে? চেতনা শক্তি দক্ষিণ মেরুতে একটা দেশ না যোগাড় করতে পারলে তারাও আমাদের সঙ্গেই একই মারা খাওয়ার মিছিলে থাকবে। বেগমপাড়া পৌঁছাতে পারবে শুধু অল্প কিছু লোক।