আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের দিন বিএনপি ‘গণ্ডগোল পাকানোর চক্রান্ত’ করছে অভিযোগ করে তা ‘প্রতিহতের’ ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার ঢাকায় পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “সেদিন কেন তাদের কর্মসূচি আমি জানতে চাই। প্রত্যাহার করুন, সংঘাতের উসকানি দেবেন না। আমরা দুই মাস আগে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছি। ওই দিন গণমিছিল করার অর্থ হচ্ছে সংঘাতের উসকানি। ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে ২৪ তারিখে গণ্ডগোল পাকানোর চক্রান্ত করছে বিএনপি। এটা প্রতিহত করতে হবে।”
বিএনপিকে ‘ছাড় না দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিয়ে কাদের বলেন, “ক্ষমতা হারানো ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে বিএনপি পাগল হয়ে গেছে। এ পাগলকে ঠাণ্ডা করতে হবে।”
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশে ১০ দাবি ঘোষণা করে বিএনপি। দাবি আদায়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর দেশের জেলা ও মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা দেয় তারা।
এদিকে ওই দিন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর দলের এক সভায় এই কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করেছিল আওয়ামী লীগ।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের তেজগাঁও জোন আয়োজিত মঙ্গলবারের সমাবেশে যোগ দিয়ে বিএনপির এই কর্মসূচির সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন দাবি করে কাদের বলেন, “বাংলাদেশ সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে তদবির করতে গেছেন। আমির খসরু সাহেব কী পেলেন। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ২০টি দেশের ৭০ জন এমপি-মন্ত্রীদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ নেই। আমির খসরুর মিশন ব্যর্থ। ১০ ডিসেম্বরের মিশনও ব্যর্থ।
“বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ভুয়া। সরকারের পতন ভুয়া। বিজয় মিছিল ভুয়া। তারেকের আগমন ভুয়া।”
বিএনপিকে ‘রাজনীতির বেপরোয়া চালক’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা কখন, কোথায় দুর্ঘটনা ঘটায় সেটাই চিন্তার বিষয়।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “বেগম জিয়া বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক পাগল-শিশু ছাড়া কেউ বোঝে না। আমরা তার কথা মানি। কথা সত্য। ধন্যবাদ জানাই এই কথা বলার জন্য। বিএনপি কেন উল্টো চলে? বিএনপি যে দেশের কাছে নালিশ করেছে, তাদের দেশেও তত্ত্বাবধায়ক নেই। আদালত এটা নাকচ করে দিয়েছে। মৃত ইস্যুকে জীবিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি। সেটা হবে না।”
আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্র ও পেশী শক্তিকে বিশ্বাস করে না বলে সমাবেশে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
“আমরা জনগণের রায় নিয়ে চলছি। জনগণের সমর্থনে রাজনীতি করি। ১০ ডিসেম্বর তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার পরেও তারা নির্দিষ্ট একটি স্থানে সমাবেশ করার জন্য জোর ধরেছিল। আমরা তাদের উন্মুক্ত মাঠে যেতে বলেছিলাম। তারপর তারা বাধ্য হয়ে সেখানে সমাবেশ করেছে। বিএনপি ষড়যন্ত্র করলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বসে থাকবে না।”
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ উপস্থিত ছিলেন এ কর্মসূচিতে।
সমাবেশের আগে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগর এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্র সংলগ্ন পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে মিছিল নিয়ে জমায়েত হন।
বুঝলাম না মেসির সাথে বিএনপির সম্পর্কটা কি
এখানে তো কাকের ছবি আসবে
আপনারা যে পাগল হয়েছেন সেটা আর কেউ না জানুক নোয়াখালীর মানুষ তো জানে
কাকা
কাকা
OK. How will You to cold BNP Kakku? You can’t go anywhere with the help of Our Police Department. Have you remembered Shahid President Ziaur Rahman went to anywhere without the such types of help of Our Police Department.But You can not go. You should learn a good lesson from it. In Your meeting There are 50% Police present with the peoples of Your Awami League supporters
পাগলা য় কয় কি!
বি এন পি কে ঠান্ডা করতে গিয়ে তোরা নিজেরাই ঠান্ডা হয়ে জাবি
কাকার মুখের ভাষা শুনেছো?????
Tui pagoul hoicato