১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রত্যেকটি প্রবেশমুখে যানবাহনে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। তল্লাশির নামে অনেক যাত্রী ও পথচারীকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেকপোস্ট বসিয়ে ছোট-বড় সকল গণপরিবহন থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। বাদ যাচ্ছে না মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ তল্লাশিও। তাতে করে গাড়ির সাধারণ যাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের সাধারণ যাত্রীরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থা নিয়েছে বিভিন্ন পয়েন্ট। মিছিল মিটিং ও মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে ছাত্রলীগ।
সরেজমিন দেখা যায়, গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। চেকপোস্টে সকল ধরনের গণপরিবহন থামিয়ে করা হচ্ছে তল্লাশি। গন্তব্যে যাওয়ার কারণসহ নানা ধরনের জেরার মুখে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেক যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে তাদের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও তল্লাশি করছে পুলিশ। সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করতে না পারলে অনেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
অনেকেই নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহন থেকে। দেখা যায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গণপরিবহন থামানোর পরপরই মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে করতে উঠছে বাসে। এরপর এক এক করে সকল যাত্রীর বিষয়ে ভালোভাবে তথ্য নিয়ে তার পর সেই পরিবহন ছাড়া হচ্ছে। তাতে করে সাধারণ যাত্রীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে।
এসময় এক যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার ভাই অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। শুক্রবার দোকান বন্ধ রেখে রওনা হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় এত সমস্যা বুঝতে পারিনি। আমরা রাজনীতি বুঝি না। কাজ করি ভাত খাই, তাহলে আমাদের এমন ভোগান্তি হবে কেন।
তিনি বলেন, শেরপুর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত আসতে তিনবার তল্লাশি করেছে পুলিশ।
প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন সোহরাব হোসেন নামে এক যুবক। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা পৌঁছানোর জন্য একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়েছেন। ময়মনসিংহ থেকে আসতে তিনটি চেকপোস্টে থামতে হয়েছে। সময় ব্যয় হয়েছে প্রায় ঘণ্টাখানেক। তিনি বলেন, কী কারণে এ রকম ভোগান্তি বুঝতে পারছি না। কত প্রশ্ন, মনে হয় বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছি। তিনি বলেন, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও তল্লাশি করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, পুলিশ সদস্যরা কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে চেক করছে।
বর্তমান পুলিশ বাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর নরকিয়তার রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। নিপাত যাক এই ভাড়াটিয়া বাহিনী।
মানুষ যেখানে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে সেখানে কোন কৌশল কাজে লাগবে বলে মনে হচ্ছে না।
সরকারের এতো ভয় কেন বিএনপি সমাবেশ করলে
তল্লাশি হতে রেহাই পাওয়ার জন্য ১০ তারিখে ঢাকার রাস্তায় চলার জন্য পুরুষের Under প্যান্টে মহিলারা পেন্টি আর বিকিনী ছাড়া আর কিছু পরিধান করতে পারবে না ক্ষমতার জোরে জনস্বার্থে এমন একটা নির্দেশনা জারি করলেই তো হয়!
ওদের তো এটাই কাজ। জালিমদের দুনিয়া এইটা
আর কত গোলামী করবে এই পুলিশ
ভালো
এটার কি দরকার ছিলো?