Breaking News

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী মাথা ফাটালেন ৪ শিক্ষকের

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল বিভাগের এক কর্মচারীর হামলায় চার শিক্ষক আহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর তৃতীয় তলায় বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মাথা ফেটে গেছে। অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম তাজুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সরকারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মারধরের ঘটনায় আহতরা হলেন, বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান (৩৫), সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন (৩৫), প্রভাষক হারুন অর রশিদ (৩০), নির্মল চন্দ্র রায় (৩০) এবং সদ্য নিয়োগ পেয়ে যোগদান করতে আসা প্রভাষক মাহাবুব হোসেন (৩০)।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিভাগের শিক্ষক–ছাত্র এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাডেমিক শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সকলে বিভাগে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টা পেরিয়ে গেলেও কর্মচারী তাজুল ইসলাম অফিসে না আসায় তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে সোয়া ৯টার দিকে বিভাগে উপস্থিত হলে বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান তাকে দেরী করার কারণ জিজ্ঞেস করেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে উল্টো তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে তাজুল পাশের রুমে রাখা পানি খাওয়ার গ্লাস নিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তাদের চিৎকারে পাশের কয়েকটি কক্ষ থেকে অন্য র্কমচারী ও শিক্ষকরা এসে তাজুলকে আটক করেন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা: আবু রেজা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, আহত তিনজনের মাথার খুলি ফেটেছে। অন্য একজনেরও মাথায়ও আঘাত লেগেছে। বিভাগের চেয়ারম্যানের ঠোঁট কেটে গেছে। তবে প্রত্যেকে আশঙ্কামুক্ত বলে তিনি জানান।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *