Breaking News

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হল দুই শিক্ষার্থীকে

সাদা পোশাকে আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়র (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালে নগরীর চদ্রিমা থানার চকপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন, রেজোয়ান ইসলাম রিজু এবং শাকিব শুভ। তারা দুজনই চিত্রকলা, ছাপচিত্র ও প্রাচ্যকলা বিভাগর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রেজোয়ানের গ্রামর বাড়ি যশোরের মণিরামপুর এবং শাকিবের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়।

তুলে নিয়ে যাওয়া রেজোয়ানের বড়ভাই মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার তিনি রাজশাহীতে আসেন। রাতে রেজোয়ানের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। রোববার সকাল সাড়ে সাত টার দিকে ঘুম ভাঙার পর দেখি সাদা পোশাকে ৪-৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক রিজু ও শাকিবকে জেরা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আরো আটক হওয়া দুই তরুণ ছিলেন। এদের মধ্যে একজনের নাম রবিন। তারা বলছিল, রবিনের সঙ্গে তদের যোগাযোগ কিভাবে? কিছুক্ষণ জেরা করার পর রিজু ও শাকিবকে তারা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও দেখাননি। তখন তারা আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে বলেন প্রয়োজনে যোগাযোগ করবে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর চন্দ্রিমা থানায় যোগাযোগ করলে তারা র‌্যাব অফিসে খোঁজ নিতে বলেন। র‌্যাব অফিসে গিয়েও খোঁজ পাইনি। র‌্যাব পরে জিডি করতে বলে। তিনি চন্দ্রিমা থানা ও মতিহার থানায় জিডি করতে গেলেও জিডি গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এবিষয় জানত চাইলে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হাসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তাদরকে নিয়ে গেছে। এর বেশি তিনি জানেন না।

বিষয়টি জানতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মুখপাত্র) রফিকুল আলমকে মোবাইল কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

তবে পুলিশের দায়িত্বশীল এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল তাদেরকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছে। এই দুইজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।’ তবে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তা তিনি বলতে রাজি হননি।

এবিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়র প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক সমকালকে বলেন, একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে তুলে নিয়ে গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে সেজন্য তারা তুলে নিয়ে গেছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতেই রয়েছে ওই শিক্ষার্থীরা। তিনিও অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই স্পষ্ট করেননি।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *