Breaking News

প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে সামনেই ছাত্রীকে মারধর করলেন শিক্ষক

মুন্সিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পরীক্ষাকেন্দ্রে সামনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে মারধর ও মোবাইলফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় মনির হোসেন সজল (৩৮) নামে কোচিং শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ নভেম্বরে) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ গেটের সামনে ওই ছাত্রীকে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়াসহ অপহরণের হুমকির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

অভিযুক্ত মনির মুন্সিগঞ্জ কলেজের সাবেক শিক্ষক এবং বর্তমানে একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করছেন। আর ভুক্তভোগী এইচএসসি পরীক্ষার্থী সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রী।

ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুল আজিজ জানান, কোচিং সেন্টারে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় শিক্ষক মনির প্রেম নিবেদন এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ওই ছাত্রীকে হয়রানি করে আসছিল। তবে এতে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। যা নিয়ে এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

পরবর্তীকালে ওই শিক্ষকের ভয়ে পরিবারসহ সদর থেকে সিরাজদিখান চলে যান তারা। বুধবার সিরাজদিখান থেকে ছাত্রী তার মা ও মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সদর উপজেলার সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আসেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে পৌঁছালে তাদের বহনকারী মিশুকের পথরোধ করে ওই শিক্ষক ছাত্রীর হাত ধরে জোর করে নামিয়ে মারধর ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেন। এসময় ছাত্রীর মা ও মামাতো বোন বাধা দিলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পরে পরীক্ষা দিয়ে বের হলে ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দিয়ে চলে যান মনির।

এ বিষয়ে ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *