দাফনের ৩৮ দিন পর আদালতের নির্দেশ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ধায়াইল গ্রামর প্রবাসী আবু বক্কার ওরফে ধনি বক্কারর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার ধায়াইল কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করার পর সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাসুদেব কুমার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহম্মদপুর থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমানসহ আবু বক্কারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর মায়ের নামসহ ৫ জনের নামে আবু বক্কারের ছেলে সিজান মাহমুদ মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মামলার বাদীর মা সীমা পারভীনকে। ওই মামলার সূত্র ধরে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযোগ, আবু বক্কার সৌদি আরব ৩০ বছর ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন। তার ছেলে সিজান মাহমুদ নিজেও সৌদিতে ছিলেন। তার বাবা সৌদি থাকায় বেশ সম্পদের মালিক হন তারা। এরই মধ্য তার মা প্রতিবেশী রকিবুল হাসান হিরক নামে এক যুবকের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বাড়িতে আসার পর বিষয়টি জানাজানি হলে ছড়াতে থাকলে তার মা তার বাবাকে হত্যার হুমকি দেন। এরপর গত ২ অক্টোবর তার বাবাকে হত্যা করা হয়।
মামলার বাদী সিজান মাহমুদ সাগর জানান, আমি জানতে পারি, দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ দিয়ে আমার বাবাকে অচেতন করেন মা। এরপর আসামিদের যোগসাজশে বাবার শয়ন কক্ষের পেছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে বাবাকে বালিশ চাপা দিয় হত্যা করা হয়।
মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর মাগুরা সদর হাসপাতালর মর্গে পাঠানো হয়েছে।