মাদারীপুরের রাজৈরে একটি টিউবওয়েল চুরি মামলায় গ্রেফতার মসজিদ কমিটির সভাপতিকে মুক্তির দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ডের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রাজৈর থানা পুলিশ এসে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে বিকেলে জামিন পান ওই আসামি।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একটি টিউবওয়েল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ অক্টোবর রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর সংলগ্ন ঘোষালকান্দি গ্রামে মানিক আকন ও সুমন শেখের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। এতে মানিক আকন মারাত্মক আহত হন। প্রথমে তাকে রাজৈর ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মানিক আকনের বড় ভাই আইয়ুব আলী আকন বাদী হয়ে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড শেখ শাহী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ক্বারি মো. জাকির শেখকে ১ নম্বর আসামি করে রাজৈর থানায় মামলা করেন।
মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে রাতেই জাকির শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাকির শেখের স্বজন ও শত শত এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে টেকেরহাট বন্দর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় মহাসড়কে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে রাজৈর থানা পুলিশ এসে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরিফ শেখ বলেন, জাকির শেখ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। অথচ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলো। এ কারণেই আমরা বিক্ষোভ করেছি। পরে ওসি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, চুরি মামলায় জাকির শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত তাকে জামিন দেন।
মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।